মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কড়া নির্দেশ: মোবাইল নিষিদ্ধ, অভিভাবকদেরও সতর্কতা!

Published On:
পরীক্ষা প্রস্তুতি অ্যাপ:
  

Madhyamik Exam Important Guideline 2025: মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নকল রুখতে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বছর পরীক্ষার নিয়ম আরও কঠোর করা হয়েছে। পরীক্ষায় মোবাইল ফোন বহন করা নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই পরীক্ষার স্বচ্ছতা নষ্ট না হয়। শুধু পরীক্ষার্থীদের নয়, অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

Madhyamik Exam Important Guideline 2025

পর্ষদের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনোভাবেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে, তবে শুধু এক বছরের জন্য পরীক্ষা বাতিল হবে না, বরং পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত সেই পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে না। এই কঠোর সিদ্ধান্ত পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষার্থেই নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ চেকিং করা হবে যাতে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। তবে যদি কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল থাকে, তবে পরীক্ষার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সেটি জমা দেওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যদি কাউকে মোবাইল সহ ধরা পড়তে দেখা যায়, তবে তার পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে এবং মোবাইলটি ফেরত দেওয়া হবে না।

🎯 টার্গেট মাধ্যমিক Success Suggestion ⭐ [All Subjects @99] Buy Now
🎯 টার্গেট মাধ্যমিক Success Mock Test ⭐ [All Subjects @49] Buy Now

অভিভাবকদের জন্য বিশেষ নির্দেশ

পরীক্ষার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের জন্যই নয়, অভিভাবকদের জন্যও কড়া বার্তা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাম্প্রতিক কালে পরীক্ষার হলে ধরা পড়া মোবাইল ফোনের কললিস্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকরাই পরীক্ষার সময় ফোন করেছেন। অনেক অভিভাবক পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে বারবার ফোন করে জানতে চেয়েছেন তাদের সন্তান ঠিকভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে কিনা। এতে পরীক্ষার্থীদের অযথা মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে এবং পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

পর্ষদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অভিভাবকদের অবশ্যই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং পরীক্ষার সময় কোনোভাবেই সন্তানকে ফোন করা যাবে না। পরীক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার অভিজ্ঞতা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

WBPSC Clerkship Previous 20 Year: ক্লার্কশিপ পরীক্ষার বিগত 20 বছরের প্রশ্নপত্র

সিসিটিভির মাধ্যমে কঠোর নজরদারি

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা হল প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে CCTV ক্যামেরার স্থাপন। পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে কমপক্ষে তিনটি সিসিটিভি বসানো হবে:

  1. পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের সামনে: যাতে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
  2. পরীক্ষা হলের বারান্দায়: যাতে কেউ বাইরের থেকে কোনো ধরনের সাহায্য না পায়।
  3. সুপারভাইজার অফিসে: যেখানে পরীক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।

পরীক্ষার সময় যদি কেউ মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে, যেমন শৌচাগারে বা কেন্দ্রের অন্য কোথাও, তবে সিসিটিভির মাধ্যমে তা সহজেই ধরা পড়বে। পরীক্ষার পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হবে, যাতে কোনো অভিযোগ উঠলে তা পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা যায়।

নকল রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ

পর্ষদ নিশ্চিত করেছে যে, পরীক্ষার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পরীক্ষক নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি হলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষক থাকবে, যারা ছাত্রদের পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

এর পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের খাতা দেওয়ার সময় এবং জমা নেওয়ার সময়ও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে যাতে কেউ অন্য কারো খাতা নিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে বা বাইরে থেকে খাতা পরিবর্তন করতে না পারে।

পরীক্ষার্থীদের করণীয়

পরীক্ষার্থীদের এই কঠোর নিয়ম মেনে চলার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:

  1. পরীক্ষার দিন মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে আসুন। পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে গেলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
  2. পরীক্ষার আগে প্রবেশপত্র, কলম, অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ঠিকভাবে গুছিয়ে নিয়ে যান।
  3. পরীক্ষার সময় মনোযোগ সহকারে প্রশ্ন পড়ুন এবং শান্তভাবে উত্তর লিখুন।
  4. পরীক্ষার হলে কোনো রকম অসদুপায় অবলম্বন করবেন না। যদি কেউ নকল করার চেষ্টা করেন এবং ধরা পড়েন, তাহলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
  5. অভিভাবকদের উচিত সন্তানকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং পরীক্ষার সময় তাদের ফোন না করা।

পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা

এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অত্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরীক্ষার পরিবেশ যাতে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ থাকে এবং কোনোভাবেই অসদুপায় অবলম্বন করা না হয়, সে দিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

এই নিয়মগুলি শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের জন্য নয়, অভিভাবকদের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পরীক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং তাদের সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করাও অভিভাবকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই সবাইকে নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করে। এই পরীক্ষাকে যাতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ রাখা যায়, তার জন্যই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উচিত এই নিয়ম মেনে চলা এবং অভিভাবকদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকা। শুধুমাত্র নিয়মানুবর্তিতা এবং সততার মাধ্যমেই একজন পরীক্ষার্থী তার প্রকৃত যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে।

পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভকামনা, তারা যেন সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

আমাদের যে কোনো E-Book সরাসরি WhatsApp এর মাধ্যমে কিনতে বা কোনো সমস্যা হলে নিচের বটনে ক্লিক করে মেসেজ করুন -

Share This:

Our Student's Success

Item added to cart.
0 items - 0.00
Sorry this site disable right click
Sorry this site disable selection
Sorry this site is not allow cut.
Sorry this site is not allow copy.
Sorry this site is not allow paste.
Sorry this site is not allow to inspect element.
Sorry this site is not allow to view source.