রক্তদান (Blood Donation) হলো এক প্রকার মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন, যেখানে একজন সুস্থ মানুষ স্বেচ্ছায় নিজের শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত দান করে থাকেন, যা পরবর্তীতে রক্তের প্রয়োজনীয় রোগী বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। নিচে রক্তদানের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
Blood Donation Donar or Receiver Group
অনেকের মনেই রক্তদানের আগে কিছু প্রশ্ন থাকে। যেমন আমার A+ রক্তের গ্রুপ। তাহলে আমি কাদেরকে রক্ত দিতে পারবো?আজকে এই বিষয়টি টেবিলের মাধ্যমে দেখানো হলো

✅রক্তদানের প্রকারভেদ:
১. পূর্ণ রক্তদান (Whole Blood Donation):
সাধারণত ৪৫০-৫০০ মিলি রক্ত নেওয়া হয়।
২. প্লাজমা দান (Plasma Donation):
প্লাজমা আলাদা করে নেওয়া হয় এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে ফেরত দেওয়া হয়।
৩. প্লেটলেট দান (Platelet Donation):
প্লেটলেট সংগ্রহ করা হয় বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে।
৪. ডাবল রেড সেল ডোনেশন:
দুই ইউনিট রেড সেল নেওয়া হয় এবং প্লাজমা ও অন্যান্য অংশ শরীরে ফেরত দেওয়া হয়।
✅ কে রক্ত দিতে পারে:
- বয়স: ১৮ থেকে ৬০ বছর
- ওজন: কমপক্ষে ৫০ কেজি
- রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন, পালস ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকা প্রয়োজন
- কোনো সংক্রামক রোগ (যেমন HIV, হেপাটাইটিস B/C) না থাকা
- সাম্প্রতিক সময়ে বড় অপারেশন বা ট্যাটু না করা
✅ কতদিন পরপর রক্ত দেওয়া যায়:
- পুরুষ: প্রতি ৩ মাস পর
- নারী: প্রতি ৪ মাস পর
✅ রক্তদানের উপকারিতা:
- আত্মতৃপ্তি এবং মানবতার সেবা
- শরীরের অতিরিক্ত আয়রন কমানো যায়, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
- নতুন রক্তকণিকা তৈরি হয়
- ফ্রি হেলথ চেকআপ হয় (ব্লাড প্রেসার, হিমোগ্লোবিন, HIV, হেপাটাইটিস ইত্যাদি)
✅ রক্তদানের আগে যা জানা দরকার:
- পর্যাপ্ত ঘুম নিতে হবে
- হালকা খাবার খেয়ে যেতে হবে
- পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে
- ধূমপান বা অ্যালকোহল এড়ানো উচিত
✅ রক্তদানের পরে করণীয়:
- ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া
- বেশি জল ও তরল খাবার গ্রহণ
- ২৪ ঘণ্টার জন্য ভারী কাজ এড়ানো